জেনে নিন কোন শাকের কি কি গুণ? Health Tips Bangla | সুস্থ থাকার উপায়


জেনে নিন কোন শাকের কি কি গুণ? Health Tips Bangla | সুস্থ থাকার উপায়






সুস্থ থাকার উপায়। জেনে নিন কোন শাকের কি গুণ? Health Tips Bangla | how to healthy lifestyle
কোন শাকের কি গুণ?

গ্রন্থণা- ফারুক মোহাম্মদ ওমর

শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে শাক অন্যতম। কমবেশি আমরা সবাই শাক খেতে ভালোবাসি। শাক রান্না করা অনেকে এর ঝোল স্যুপের মতো করে খায়। অনেকে আবার শাক ভাজি কিংবা মাছের সঙ্গে রান্না করেও খেতে পছন্দ করেন। তবে যেভাবেই খান না কেন, শাক শরীরের জন্য অনেক উপকারী। নিয়মিত শাক খেলে নানা ধরনের রোগ-ব্যাধি দূর হয়। এতে শরীরও সুস্থ থাকে।
এক্ষেত্রে সুস্থতায় জেনে রাখুন কোন শাকের কী গুণ রয়েছে-

পালংশাক
পালং শাক অন্ত্রের ভেতরে জমে থাকা মল সহজে বের করে দিতে সহায়তা করে। যার কারণে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তাদের জন্য এ শাক খুব উপকারী। আবার পালং শাকের বীজ কৃমি ও মূত্রের রোগ সারায়। এর কচি পাতা ফুসফুস, কণ্ঠনালীর সমস্যা, শরীর জ্বালাপোড়া সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। আবার জন্ডিসেও এই শাক বিশেষ উপকারী। পোড়া ঘায়ে, ক্ষত স্থানে, ব্রণে বা কোথাও ব্যথায় কালচে হয়ে গেলে টাটকা পালং পাতার রসের প্রলেপ লাগালে উপকার পাওয়া যায়। পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, সি, ই এবং আয়রন। এজন্য পালং শাক খেলে রক্তে আয়রনের মাত্রা বেড়ে যায়।
লালশাক
লাল শাক রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়। ফলে যাদের রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া আছে তারা নিয়মিত লাল শাক খেলে রক্তস্বল্পতা পূরণ হয়।

কলমি শাক
কলমি শাকেরও রয়েছে নানা গুণ। ফোড়া হলে কলমি পাতা একটু আদাসহ বেটে ফোড়ার চারপাশে লাগালে ফোড়া গলে যাবে এবং পুঁজ বেরিয়ে শুকিয়ে যাবে। পিঁপড়া, মৌমাছি কিংবা পোকামাকড় কামড়ালে কলমি শাকের পাতা ডগা সহ রস করে লাগালে যন্ত্রণা কমে যায়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কলমি শাকের সঙ্গে আখের গুড় মিশিয়ে শরবত বানিয়ে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহ খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আমাশয় হলেও এ শরবত কাজ করে। আবার গর্ভাবস্থায় মায়েদের শরীরে পানি আসে। কলমি শাক বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে তিন সপ্তাহ খেলে অনেকক্ষেত্রে পানি কমে যায়। প্রসূতি মায়েদের শিশুরা যদি মায়ের দুধ কম পায় তাহলে কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে মায়ের দুধ বাড়ে।
কচু শাক
কচু শাকে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় এ শাকের লৌহ দেহ কর্তৃক সহজে বিপাকিত হয়। এছাড়া জ্বরের সময় রোগীকে শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য দুধ কচু খাওয়ালে বেশ উপকার পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে ওল কচুর রস উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে প্রতিষেধক হিসেবে খাওয়ানো হয় এবং এতে বেশ ভালো উপকার পাওয়া যায়।